Table of Contents
মেট্রোরেল কি, মেট্রোরেল প্রকল্প বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা। সেই সাথে মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য তুলে ধরবো। মেট্রোরেল এর স্টেশন সংখ্যা ও ভাড়ার তালিকা এবং মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান জানতে পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
মেট্রোরেল কি
অনেকেই জানতে চান মেট্রোরেল কি। মেট্রো এর শাব্দিক অর্থ হল শহর বা নগর। আবার রেল হল ট্রেন। মেট্রোরেল এর মানে হল নগর রেল। মেট্রোরেল মুলত কোন শহর বা নগর কে কেন্দ্র করে চলে। যা যানজট নিরসনে ব্যাবহার করা হয়। এটি মাটির নিচ দিয়ে অথবা উড়াল সড়কে চলাচল করে।
১৮৬৩ সালের ১০ই জানুয়ারী প্রথম মেট্রো রেল চালু হয় লন্ডন এ। মুলত এটি ছিল ষ্টীম ইঞ্জিন। মেট্রো রেলের আবিষ্কারক হলেন চার্লস পিয়ারসন (Charles Pearson)।
মেট্রোরেল প্রকল্প, ঢাকা মেট্রোরেল বা মেট্রোরেল প্রকল্প বাংলাদেশ
যানজট নিরসনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেয়। ঢাকা মেট্রো রেল বাংলাদেশ ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড নামে মেট্রো রেল প্রকল্প চালু করে। ৬ টি মেট্রো রেলের সমন্বয়ে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে সময়াবদ্দ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহন করে ২০১৬ সালে। যার মুল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাংলাদেশ এ অর্থায়ন করেছে জাপান এর একটি উন্নয়ন সংস্থা “জাইকা” । এতে প্রায় ২২হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের প্রকল্প। এই প্রকল্পে মত ৩ ধাপে কাজ হবে যার প্রথম ধাপ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। এর দৈর্ঘ্য ২০.১০ কিলোমিটার। ২০২২ সালের ২৮শে ডিসেম্বর এটির উদ্বোধন কাজ শেষ হয়।
মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা/মেট্রোরেল তথ্য
মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ এর এ অংশে আরও কিছু মেট্রোরেল তথ্য তুলে ধরছি। অনেকেই মেট্রোরেল স্টেশন সংখ্যা কত কিংবা পিলার কতটি তা জানতে চেয়েছেন। প্রথম স্তর এর কাজ MRT 6 (Mass Rapid Transit Line 6) এর কাজ চলবে। যা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। তবে বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত শেষ হয়েছে। আগারগাও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত শেষ হতে এই বছর এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে।
MRT 6 মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা ৯ টি (উত্তরা-আগারগাও)। প্রাথমিক স্তরে রেল চলবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। তবে বর্তমানে আগারগাও পর্যন্ত চলছে। মতিঝিল পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে।
শিমুল মূলের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জানতে ক্লিক করুন
মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
নিচে মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য তুলে ধরা হল। মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান হিসেবে এই সকল প্রশ্ন আসতে পারে। তাই এক নজরে মেট্রোরেল প্রকল্প অনুচ্ছেদ টি দেখে নিন।
১] মেট্রোরেল প্রকল্প টি গ্রহন করা হয় ২০১৬ সালে কিন্তু মুল কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে।
২] মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস রাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড – Dhaka Mass Rapid Transit Company(DMRTC) নামক সরকারি প্রতিষ্ঠান।
৩] মেট্রোরেল প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে জাপান এর সরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা।
৪] এই প্রকল্পে ব্যায়ের পরিমাণ ২২,০০০ কোটি টাকা।
৫] উত্তরা-আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের নয়টি স্টেশন রয়েছ এবং আগারগাও থেকে মতিঝিল ৭ টি। সর্বমোট ১৬টি।
৬] মেট্রো রেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা।
৭] মেট্রোরেল ব্যবহার করে উত্তরা থেকে আগারগাও দূরত্ব পৌনে ১২ কিলোমিটার এবং সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
৮] সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মেট্রো রেল চলবে প্রতিদিন। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে।
৯] মেট্রোরেল প্রকল্পে প্রথম স্তরে সর্বমোট ২৪ টি ট্রেন শিডিউল থাকবে।
১০] ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্বপ্নের মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ঊত্তরা- আগারগাও পর্যন্ত)
মেট্রোরেলের সময়সূচি
২০২৩ সালের মাঝামাঝির দিকে মেট্রোরেল সময় সূচি কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আপডেট মেট্রোরেলের সময়সূচি দেখে নিন।
মেট্রোরেল চলাচলের সময় সকাল ৮ টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত। তবে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাত ৮ঃ১৫ ও রাত ৮ঃ৩০ এ অতিরিক্ত দুটি ট্রেন সংযুক্ত করা হবে। সেখানে এটি আগারগাও থেকে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত চলাচল করবে। ট্রেন দুইটিতে MRT Pass/Rapid Pass ধারী যাত্রীগণ চলাচল করতে পারবে। মেট্রোরেলের সময়সূচি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু তথ্য জেনে নিন।
মেট্রোরেল চলাচলের সময়ঃ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার Headway
সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত Peak Hour-Headway ১০ মিনিট
সকাল ১১.০১ মিনিট থেকে ৪ টা পর্যন্ত Off Peak Hour-Headway ১২ মিনিট
বিকাল ০৪.০১ মিনিট থেকে রাত ০৮.০০ টা পর্যন্ত Peak Hour-Headway ১০ মিনিট
শনিবারের Headway
সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা Off Peak Hour-Headway ১২ মিনিট ও সকাল ১১ঃ০১ মিনিট হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত Peak Hour-Headway ১০ মিনিট।
#একক টিকিট ক্রয়ের সময় সকাল ৭ঃ৩০ হতে রাত ৭ঃ৩০ পর্যন্ত
#MRT Pass টিকিট ক্রয়ের সময় সকাল ৭ঃ৩০ হতে রাত ৮ঃ০০ পর্যন্ত।
#সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।
#যাত্রা বিরতির স্থান সমূহঃ উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও মিলে মোট ৯ টি স্থান।
মেট্রোরেল কবে চালু হবে
অনেকেই জানতে চান মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে কবে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মেট্রোরেল প্রকল্প ইতিমদ্ধেই তাদের কাজ অনেক টা এগিয়ে নিয়ে গেছে। মেট্রোরেল কবে উদ্বোধন করা হয় কিংবা মেট্রোরেল কবে চালু হবে জানতে চান। তাদের কে বলে রাখা ভাল যে ডিজিটাল বাংলাদেশ তার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে তার নানান উন্নয়নমূলক কাজ দিয়ে। মেট্রোরেল উদ্বোধন তারিখ হলো ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। জনসাধারণ এর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় একই বছর এর ২৯ তারিখ এ। মেট্রোরেল বাংলাদেশ তার আপডেট তথ্য অনুযায়ী মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা বাড়িয়ে টঙ্গি পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান mcq
আজকাল বিভিন্ন সরকারি চাকরীর পরিক্ষায় মেট্রোরেল সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান mcq অথবা মেট্রোরেল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখতে বলতে পারে। মেট্রোরেল সম্পর্কে রচনা লিখতে বললে এই আর্টিকেল থেকে সাজিয়ে আরও সুন্দর করে রচনা লিখতে পারেন। তবে সরকারি চাকরির পরিক্ষায় মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান mcq বেশি আসে। মেট্রোরেল প্রকল্প বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারন জ্ঞান বিষয়ক mcq গুলো এক নজরে দেখে নিন।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ২১.২৬ কিলোমিটার।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেল কি?
উত্তরঃ মেট্রো রেল হলো নাগরিক ট্রেন। যা ষ্টীম ইঞ্জিন ও দ্রুত গতি সম্পন্ন। যানজট দূর করতে নগর বা শহরে দ্রুত গতিতে যে ট্রেন চলে তাঁকে মেট্রো রেল বলে।
প্রশ্নঃ সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে?
উত্তরঃ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেল অর্থায়ন করেছে কোন কোম্পানি?
উত্তরঃ জাপান এর সরকারি উন্নয়ন সংস্থা “জাইকা” করেছে ৭৫% এবং বাংলাদেশ সরকার।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা কত?
উত্তরঃ প্রথমে ১৬ টি ছিল। সংশোধিত – ১৭ টি।
প্রশ্নঃ মেট্রো রেল উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ এবং সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২৯ ডিসেম্বর ২০২২।
প্রশ্নঃ মেট্রো রেল প্রকল্প প্রথমে কোন পর্যন্ত ছিল?
উত্তরঃ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ সংশোধিত মেট্রো রেল কোন পর্যন্ত?
উত্তরঃ উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু কবে?
উত্তরঃ মিরপুর স্টেশন ২৯ নভেম্বর ২০২১ এবং আগারগাও স্টেশন ১২ ডিসেম্বর ২০২১।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের প্রতিঘণ্টায় যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা কত?
উত্তরঃ ঘন্টায় ৬০ হাজার এবং দৈনিক ৫ লাখ।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেল এর ভাড়া কত?
উত্তরঃ প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ৫ টাকা।
প্রশ্নঃ সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া কত টাকা?
উত্তরঃ ২০ টাকা ও ১০০ টাকা।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেল সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ মোট ২৪ টি।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেলে প্রতিটি ট্রেন এ বগি কয়টি?
উত্তরঃ ৬ টি।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেল প্রকল্প পরিচালক কে?
উত্তরঃ আফতাব উদ্দিন তালুকদার।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেল কোথায় থেকে কোথায় যাবে?
উত্তরঃ উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের প্রথম চালক কে?
উত্তরঃ মরিয়ম আফিজা।
মেট্রোরেলের প্রতিঘণ্টায় যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা
বর্তমানে ঢাকা শহরে প্রায় ১.৭০ কোটি মানুষ বসবাস করে। যার অধিকাংশ মানুষকেই প্রতিদিন চলাফেরা করতে হয়। তাছাড়া মানুষের তুললায় গাড়ি খুবই কম। তাই ভীর ঠেলে লোকাল বাসে চলাফেরা করা খুব কষ্টকর। তাছাড়া যানজট এর সমস্যা তো রয়েছেই।
এ সব সমস্যা সমাধানের লক্ষে প্রায় ২৪ টি মেট্রো রেল থাকবে। যা দিয়ে ঘন্টায় ৬০ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারবে।
টাঙ্গাইল জেলার পোস্ট কোড ও এরিয়া কোড সম্পর্কে জানুন
মেট্রোরেল ভাড়ার তালিকা
৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে ডিটিসিএ করতিপক্ষ মেট্রো রেলের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ভাড়া। মেট্রো রেলের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন।
সেই উত্তরা নর্থ স্টেশন (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া হবে ৬০ টাকা
পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা
মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা
শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা
পল্লবী থেকে শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা
মিরপুর-১০ নম্বর থেকে ফার্মগেট ৩০ টাকা
মিরপুর–১০ স্টেশন থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া ৫০ টাকা
মিরপুর-১০ থেকে সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে যেতে ৬০ টাকা।
সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে
ঢাকা ম্যাস রাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড Dhaka Mass Rapid Transit Company – DMRTC নামক সরকারি প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে। ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্প এর প্রায় সর্বমোট বাজেট ২.৮ বিলিয়ন ডলার। যার পুরো অর্থায়ন করেছে জাপান সরকার উন্নয়ন সংস্থা “জাইকা”।
মেট্রোরেলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও মেট্রোরেলের সুবিধা
কর্ম ব্যাস্ত ঢাকা শহরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। যার জন্য ব্যাবহার করা হয় পেট্রোল, ডিজেল কিংবা সিএনজি। এতে প্রতিদিন দূষিত হচ্ছে নগরী। মেট্রো রেল বাংলাদেশর অরথনীতিতে বিশাল ভুমিকা রাখছে। মেট্রোরেলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা সকল কর্মজীবিকে অফিসে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় জ্যাম এ আটকে পড়ে থাকতে হয়। তাই এখন আর এটা করতে হবেনা। ফলে সময়ের অপচয় রোধ করে কাজ করে অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখতে পারবে।
তাছাড়া মেট্রো রেল আমাদের দেশীয় সম্পদ। এটি মানুষের নতুন কর্মসংস্থান এর সুযোগ করে দিয়েছে।
মেট্রোরেলের সুবিধা ও আরও কিছু গুরুত্ব পূর্ণ আলোচনাঃ
১) যানজট দূরীকরণঃ মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যানজট মুক্ত না হলেও অনেকটা নিরসন সম্ভব।
২) সময়ের অপচয় রোধঃ দীর্ঘ সময় যানজটে বসে থাকতে হবেনা। ফলে সময়ের অপচয় রোধ হবে।
৩) অর্থনৈতিক সংকট দূরীকরণঃ নতুন কর্মসংস্থান হবে আবার অর্থনীতি কে তরান্বিত করবে।
৪) জীবন যাত্রার মান উন্নয়নঃ মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে অর্থনীতির সংকট মকাবেলা করে জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে।
৫) পরিষ্কার পরিছন্ন নগরীঃ মেট্রোরেল প্রকল্প চালু হওয়ায় অনেক নষ্ট ও অকেজো গাড়ি বাতিল হবে। সবাই সুন্দর ও সাবলীল ভাবে চলাফেরা করবে। এতে করে ঢাকা শহর পরিষ্কার ও পরিছন্ন থাকবে।
মেট্রোরেল সর্বশেষ
আজকের আর্টিকেল জুড়ে মেট্রোরেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। মেট্রোরেল কি, মেট্রো রেল প্রকল্প বাংলাদেশ এর অর্থায়নে কোন কোম্পানি ইত্যাদি। তাছাড়া মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আজকের পোস্ট টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। মেট্রোরেল সম্পর্কে কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান। বন্ধুদের কে জানাতে পোস্ট টি ফেসবুকে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ পুরো পোর্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
মেট্রোরেল সর্বশেষ তথ্য পাওয়া গেছে এই যে, বাংলাদেশ মেট্রোরেল তার দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে টঙ্গি, গাজিপুর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মেট্রোরেল এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর এর শেষের দিকে এর কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।