আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়, উপকারিতা ও দাম জানুন

আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায় নিয়ে বিস্তারিত বিশদভাবে আলোচনা করার জন্য উপস্থিত  হয়েছি।  আপনি যদি আজকে আজওয়া খেজুর সম্পর্কে জানতে চান।  আজওয়া খেজুর কি,  আজওয়া খেজুরের ইতিহাস, আজওয়া খেজুর চেনার উপায় আজওয়া খেজুর খাওয়ার  উপকারিতা, আজওয়া খেজুরের দাম কত ইত্যাদি ইত্যাদি নানাবিধ প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য।

আজওয়া একটি আরবি শব্দ। এর বাংলা অর্থ ফল বিশেষ। যা তালগাছ বা বিশেষ ধরনের গাছে জন্মে বা এক ধরনের  আঙ্গুর যা আরব  দেশ তথা মরুভূমির দেশে ফলন হয়।

আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়

আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায় হল এটি অনেক্তা গলাক্রিতি, বেশি লম্বা বা বেশি খাটো নয়। আজওয়া খেজুরএর বোটাটি গোলাপি এবং আসল আজওয়া খেজুরের মাথার দিকে সোনালী রংএর দাগ থাকবে

আজওয়া খেজুর টি হবে চমকানো কালো রংয়ের । 

আজওয়া খেজুরের ইতিহাস

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে আজওয়া খেজুরের  ইতিহাস কি। মূলত আজওয়া খেজুর হলো একটি জান্নাতি ফল। আরব দেশে মরুভূমিতে অনেক রকমের খেজুর জন্মে। আজওয়া খেজুর সবচেয়ে অন্যতম। কারণ এই আজওয়া খেজুর আমাদের নবী করিম সাঃ নিজ হাতে চারা রোপণ করেছিলেন এবং খুব দ্রুত সময়ে খেজুর উৎপাদন  করেছিলেন।  মূলত একজন ইহুদির হাত থেকে মুসলমান ব্যক্তিকে উদ্ধার করার জন্য এই কাজটি করেছিলেন আমাদের রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

সালমান ফারসি ছিলেন একজন ইহুদি বণিকের ক্রীতদাস। তাকে দিয়ে অনেক পরিশ্রম করানো হতো। সে পরিশ্রম না করতে পেরে সেখান থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু তাকে দুটি শর্ত দেয়া হয়েছিল দুটি শর্ত পূরণ করতে পারলে তাকে মুক্তি দেয়া হবে। শর্ত দুইটি ছিল চল্লিশটি স্বর্ণমুদ্রা দিতে হবে এবং 300 খেজুর চারা উৎপাদন করে সেখান থেকে ফল উৎপাদন করে দিয়ে যেতে হবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে। যা ছিল অসম্ভব কারণ তিনি যে সময় দিয়েছিলেন সেই সময়ের মধ্যে খেজুর উৎপাদন করা চারা রোপণ করা সম্ভব ছিল না। বিষয়টি আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর অবগত হয়। এবং তিনি সেই চারা রোপণ করেন এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে খেজুর উৎপাদন করে তাকে দিয়ে দেন। এবং সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে মুক্ত করে নিয়ে  আসেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে খেজুর গাছের চারা রোপণ করেছিলেন এটাই হচ্ছে আসল আজওয়া খেজুর।

বাংলাদেশে আজওয়া খেজুরের দাম

আপনারা অনেকেই ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে  আজওয়া খেজুরের দাম সম্পর্কে সার্চ দিয়ে থাকেন। মূলত আজওয়া খেজুর 450 থেকে 500 টাকা কেজিতে বিক্রি হয়ে থাকে। অঞ্চলভেদে এই জান্নাতি ফল আজওয়া খেজুরের দাম কম বেশি হতে পারে। আজকাল অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে এই খেজুর ক্রয় করে থাকে। অনেকেই আবার হজে গিয়ে সেখান থেকে আজওয়া খেজুর কিনে নিয়ে  আসে।

আজওয়া খেজুর এর উপকারিতা

চিকিৎসা বিজ্ঞান ও হাদিস অনুযায়ী আজওয়া খেজুরের উপকারিতা অনেক। চিকিৎসা চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে এতে রয়েছে প্রচুর খাদ্যআঁশ এবং ভিটামিন এ,বি,সি এবং  কে। ভিটামিন এ এর অন্যতম উপাদান এর উপস্থিতি বেশি থাকার কারণে এই ফল চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া এ ছাড়াও আরো যা নিচে বিশদভাবে আলোচনাঃ

১। আজওয়া খেজুরের রয়েছে 77 দশমিক 5 শতাংশ কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে অন্য খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে।

২।  এটি প্রতিদিন খেলে কোলেস্টরেল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৩। রোগের ঝুঁকি কমায়, লিভার ও পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

৪। হাদিস মতে যে ব্যাক্তি এই ফল প্রতিদিন সকালে খাবে  তাকে ঐদিন জিন ভুত অথবা কালো জাদু আক্রমণ করতে পারবে না।

৫।  যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৬। ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকায় দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।

৭। আজওয়া খেজুরের ভিটামিন এ এর উপাদান ক্যাটারিং থাকায় চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।

৮।  এতে  ভিটামিন এ এ,বি,সি, কে বিদ্যমান রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাট হিসেবে কাজ করে।

পরিশেষেঃ

অপুষ্টিতে আজওয়া খেজুর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।  আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়, আজওয়া খেজুরের উপকারিতা,  আজওয়া খেজুরের ইতিহাস ইত্যাদি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং আপনাদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এটি শেয়ার করবেন যাতে তারাও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে। এই পোষ্ট সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য বা কোন প্রশ্ন থাকলে আপনি কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

Leave a Comment